আমেরিকায় বহুল আলোচিত মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেশটির পার্লামেন্টের নিুকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে এগিয়ে বিরোধী দল ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি। তবে উচ্চকক্ষ সিনেটের দখল নিয়ে বাইডেনের ডেমোক্র্যাট ও ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। পাশাপাশি এদিন ৩৬টি রাজ্যের গভর্নর পদেও লড়াই চলছে। এখানেও শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে ট্রাম্পের দল। এদিকে, অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন রিপাবলিকানরা।

মধ্যবর্তী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ রাজ্যেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। ভোটাভুটি শেষে এখন চলছে গণনা পর্ব। এরমধ্যে মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিুকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের কিছু আসনের ফলাফলও প্রকাশ হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, প্রতিনিধি পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে এখন পর্যন্ত পিছিয়ে আছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। অন্যদিকে, এগিয়ে আছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি। তবে এগিয়ে থাকার ব্যবধান খুব বেশি না হওয়ার কারণে সিনেট দখল নিয়ে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের মধ্যে ৩৫৯টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল জিতেছে ১৬৭টি আসনে। আর ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানরা জিতেছে ১৯২টি আসনে। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কমপক্ষে ২১৮টি আসনে জয় পেতে হবে। অন্যদিকে, উচ্চকক্ষ সিনেটে দু’দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় দুপুর দু’টো পর্যন্ত পাওয়া খবরে ডেমোক্র্যাটরা ৪৮টি আসনে এবং রিপাবলিকানরা ৪৭টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ১০০টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৫১টি আসনে জয়ী হতে হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের প্রয়োজনীয় পাঁচটি আসনও রিপাবলিকানরা তুলে নিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া গভর্নর নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলেও ট্রাম্পের দল এগিয়ে আছে।

তবে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পরিবর্তিত হয়েছে কিনা, তা আজ জানা গেলেও সিনেটের নিয়ন্ত্রণ জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ক’দিন। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে থাকবে, তা নির্ভর করবে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, পেনসিলভানিয়া ও নেভাডা- এই চার অঙ্গরাজ্যের সিনেট আসনে জয়ীদের ভিত্তিতে। সেক্ষেত্রে চূড়ান্ত ফল পেতে আরও সময় লাগবে অন্তত এক মাস।

বিভিন্ন জরিপ বলছে, মধ্যবর্তী নির্বাচনে যেকোনো কক্ষে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাধার মুখে পড়বে। সেইসাথে নীতি-নির্ধারনী বিল পাসে বিরোধিতার মুখে পড়বে বাইডেন প্রশাসন।