উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে সেল্টিককে ৫-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বৃহস্পতিবার (তেসরা নভেম্বর) ঘরের মাঠ এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পাঁচ ভিন্ন ভিন্ন গোলদাতার গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের পরের পর্ব অনেক আগে নিশ্চিত হলেও রিয়াল মাদ্রিদের জন্য সেল্টিকের বিপক্ষে জয়টি ছিল গ্রুপ পর্বে র্শীষস্থান ধরে রাখার। এই ম্যাচে ড্র কিংবা হারলে ছুঁটে যেতে পারতো গ্রুপের শীর্ষস্থান। তবে তেমন কোনো অঘটন ঘটায়নি কার্লো আনচেলোত্তির দল।
ম্যাচের শুরুতেই দুটি পেনাল্টি পায় রিয়াল। স্পটকিক থেকে প্রথমে লুকা মদ্রিচ রিয়ালকে এগিয়ে নেন। এরপর গোলের ব্যবধান দ্বিগুন করেন রদ্রিগো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মার্কো অ্যাসেন্সিওর গোলে ৩-০ তে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপর স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়রও এবং ফেদেরিখো ভালভার্দে। শেষ সময়ে সেল্টিকের হয়ে একটি গোল শোধ করেন জটা।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। অ্যাসেন্সিওর পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে রদ্রিগোর নেওয়া শট জো হার্ট আটকানোর পর বল যায় ভালভার্দের কাছে। অনেকটা লাফিয়ে তার নেওয়া ভলি জার্মান ডিফেন্ডার মরিৎস ইয়েন্সের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজে। স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মদ্রিচ।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে ভিনিসিয়াসের শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর বক্সে বল চলে আসে রদ্রিগোর কাছে। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট ম্যাট ওরাইলির হাতে লাগলে ভিএআর দেখা পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। হার্টকে বিপরীত দিকে ছিটকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগো।
ম্যাচে ফেরার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল সেল্টিক। ৩৩তম মিনিটে ফারল্যান্ড মেন্ডির ফাউল থেকে স্পটকিক পায় সেল্টিক। তবে ইয়োসিপ ইয়োরানোভিচের স্পট কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন থিবো কোর্তোয়া। আর তাতেই প্রথমার্ধে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি সেল্টিকের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান ৩-০ করেন অ্যাসেন্সিও। দানি কারভাহালের বাইলাইনের একটু ওপর থেকে বাড়ানো কাটব্যাক নিখুঁত শটে জালে জড়ান অ্যাসেনিও। তারপর ৬১তম মিনিটে ডান দিক থেকে ভালভার্দের বাড়ানো বল দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভিনিসিয়াস। এর দশ মিনিট পরই ম্যাচের ৭১তম মিনিটে বক্সের ঠিক উপর থেকে বুলেট গতির শটে গোলের খাতায় নাম তোলেন ভালভার্দে।
শেষ দিকে ৮৪তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোতার নেওয়া ফ্রি কিকে পরাস্ত হন রিয়াল গোলরক্ষক। তাতেই রিয়াল মাদ্রিদ ৫-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এদিকে এই ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়লেন রিয়ালের ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নিজের দখলে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। ক্যারিয়ারে ১০৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছেন তিনি।