মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ। ১৭ মার্কিন সেনা ও পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক মামলা তদন্তের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে গাঁজা পাচার ও সেবনের অভিযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
জানা গেছে, মিলিটারি মেইলের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য ‘মারিজুয়ানা’ পাচার ও ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ সেনা সদস্য ও অন্য পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দক্ষিণ কোরিয়া পুলিশ। এ জন্য সেখানে মার্কিন একটি সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিলিটারি মেইলের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য ‘মারিজুয়ানা’ পাচার ও ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ সেনাসদস্য ও অন্য পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দক্ষিণ কোরিয়া পুলিশ। এজন্য সেখানে মার্কিন একটি সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়েছে তারা। মে মাসে এমন ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে দুটি সামরিক ঘাঁটিতে। এর মধ্যে অন্যতম ক্যাম্প হামফ্রেস। এটি বহির্বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি।
এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক ফিলিপিনো এবং এক দক্ষিণ কোরিয়ানকে। প্রসিকিউটররা সন্দেহজনক ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা পর্যালোচনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের একটি এনফোর্সমেন্ট শাখা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়া চার মাস ধরে সেখানে অনুসন্ধান চালায়।
সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন সেনাদের এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার এটাই সবচেয়ে বড় অভিযোগ। এর ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে ওই ২২ সন্দেহভাজনের ঘর থেকে উদ্ধার করে ৭৭ গ্রাম গাঁজা, কমপক্ষে ৪ কেজি ‘মিশ্র তরল’ এবং নগদ ১২ হাজার ৮৫০ ডলার। তাদের বিরুদ্ধে মারিজুয়ানা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
পাঁচজন সেনাসদস্যসহ সাতজন মাদক বিক্রিতে জড়িত বলে মনে করা হয়। আর ১২ জন এই মাদক ব্যবহার করতেন। মধ্যবর্তী ব্যক্তি হিসাবে কাজ করতেন তিনজন। জানা গেছে, এক সেনাসদস্যের স্ত্রী এবং অন্য এক সেনাসদস্যের প্রেমিকাও এর স