জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার বাংলাদেশে খেলতে এসে জনস্রোত দেখেছিলেন হামজা চৌধুরী। দেশের মানুষের এমন হৃদয়ভরা ভালোবাসা তাকে মুগ্ধ করেছে। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দেশে আসার পর যে অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন তা এখনো ভুলতে পারেননি হামজা চৌধুরী। একরকম বিস্মিতই হয়েছিলেন তিনি।

মেসি-রোনালদো-নেইমার কিংবা পেলে-ম্যারাডোনাদের নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের তর্ক-বিতর্ক বহুদিনের। কিন্তু, এখন তাদের সহঅবস্থানের সময় এসেছে। ফুটবল ফ্যানরা এখন সমস্বরে হামজার নাম ধরে গলা ফাটাতে পারেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফুটবলারকে জাতীয় দলে ভিড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে বাফুফে।

এরইমধ্যে লাল-সবুজ জার্সিতে ৩টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন হামজা। তবে, অভিষেক ম্যাচের আগে ক্যাম্পে যোগ দিতে বাংলাদেশে আগমনের মুহূর্তটা ভুলতে পারেন না তিনি। সেবার যেনো নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেন হামজা। নিজ ক্লাব লেস্টার সিটির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সেই স্মৃতির কথাই বললেন এই মিডফিল্ডার।

বর্তমান ক্লাব লেস্টার সিটিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মিডফিল্ডার জানান, বাংলাদেশ সফরের সময় তার মনে হয়েছিল যেন শিকড় গভীর থেকে টানছে। ‘আমরা প্রথম যখন সেখানে যাই তখন আমি আমার গ্রামে ফিরে যাই। সেটা ছিল একদম গ্রামীণ জায়গা যেখানে আমি বড় হয়েছি। আমার শৈশবের বড় একটা অংশ সেই গ্রামেই ছিল।’

বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা এবং গ্রহণযোগ্যতায় হামজা কতটা আপ্লুত হয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন বলে জানিয়েছেন তিনি। হামজা বলেন,‘বাংলাদেশে পাওয়া অভ্যর্থনা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। ছেলেরা এটা নিয়ে অনেক কথা বলে, এটা পরাবাস্তব। আমার মনে হয় না এই মাত্রার ভালোবাসা কখনো স্বাভাবিক মনে হবে।’

যদিও তিনি যুক্তরাজ্যে খেলে থাকেন তবে সেখানে এমন উষ্ণতা পায় না বলেই মনে করেন হামজা। এই মিডফিল্ডার বলেন,‘ফুটবলার হিসেবে আমরা যুক্তরাজ্যে অনেকটা মনোযোগ পাই কিন্তু বাংলাদেশে যেটা পেয়েছি তার সঙ্গে এর কোনো তুলনা হয় না। এটা অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।’