কয়েক সপ্তাহ ধরে লেবাননে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গতকাল শুক্রবার লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ লেবানিজ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৫১ জন। এ নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ২ হাজার বেশি বেশি লেবানিজ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৬১ জন নারী ও ১২৭টি শিশু রয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, তাদের হামলায় লেবাননে গত ৪ দিনে ২৫০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। পাশাপাশি গোষ্ঠীটির ২ হাজারেরও বেশি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও। শুক্রবার ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট হামলা চালিয়েছে তারা।
ইসরাইলি হামলার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে লেবানন থেকে সিরিয়া যাওয়ার মূল সড়ক। এতে চরম বিপাকে পড়ছেন লেবানন ছেড়ে যাওয়া সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলার কারণে সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ থেকে এপর্যন্ত লেবাননের ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আশ্রয়শিবিরেও জায়গা নেই বিপুল পরিমাণ মানুষকে ঠাঁই দেয়ার।
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছেন, ইসরাইল ইরানের ওপর হামলা চালালে তেহরানের প্রতিশোধ আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়াও, লেবাননে যুদ্ধবিরতির প্রচষ্টাকে সমর্থন করবে বলেও জানিয়েছে তেহরান।
লেবাননে ইসরাইলি হামলার কারণে নিজ নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। শুক্রবার বৈরুতের বিমানবন্দর থেকে বিদেশি নাগরিকদের বহনকারী বেশ কয়েকটি বিমান ছাড়ে। এসব বিমানে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ছিলেন।
এদিকে, লেবানন ও গাজায় ইসরাইলের হামলার মধ্যেই এবার ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথিদের ওপর হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। শুক্রবার রাজধানী সানাসহ ৫টি এলাকায় হুথি নিয়ন্ত্রিত ১৫টি লক্ষ্যবস্তুতে এই হামলা চালানো হয়। আমেরিকার সেনা সদরদপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, নৌচলাচলের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এই হামলাগুলো চালানো হয়েছে।