টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে সাগরে ভেসে থাকার পর রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নৌকাটিতে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া অন্তত ১৮০ জন রোহিঙ্গা ছিলেন এবং নৌকাডুবির ফলে তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই তথ্য জানিয়েছে বলে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ইউএনএইচসিআর জানায়, নৌকায় থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এজন্য ধারণা করা হচ্ছে, সাগরে থাকা নৌকাটি ডুবে গেছে। তবে নৌকাটি কোথায় যাচ্ছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি ইউএনএইচসিআর।
এদিকে প্রায় এক মাস ধরে সমুদ্রে থাকার পর ভাঙা একটি নৌকায় করে ৫৭ জন রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে পৌঁছেছেন। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) তারা দেশটির বান্দা আচেহ প্রদেশের উপকূলে পৌঁছান।
এর আগে গত সপ্তাহে ভারতের উপকূলে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়। সেই নৌকায় ক্ষুধা-তৃষ্ণায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নৌকাটিতে অন্তত ১০০ জন ছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কার উত্তর উপকূল থেকে ১০৪ জন রোহিঙ্গাসহ একটি নৌকা উদ্ধার করে দেশটির নৌবাহিনী।
গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে থাকা রোহিঙ্গাসহ প্রায় ১২ লাখ মিয়ানমারের নাগরিক এখন বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের বারবার দেশে ফিরিয়ে নেবে বলে আশ্বাস দিলেও এখনও একজন রোহিঙ্গাকেও নেয়নি। সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে পুনর্বাসন করেছে। বাকিরা কক্সবাজারে ক্যাম্পে অবস্থান করছে।
তবে আশ্রয়শিবিরে থাকা অনেক রোহিঙ্গা উন্নত জীবনের আশায় ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। এজন্য তারা নৌকায় করে সাগর পাড়ি দেওয়া করছেন। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হচ্ছে।