বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনার হোঁচটের রাতে কষ্টার্জিত জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিল। চিলির বিপক্ষে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তের গোলে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় পায় ব্রাজিল। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বর স্থানে উঠে এসেছে তাঁরা।
অন্যদিকে, দীর্ঘ চোট কাটিয়ে আর্জেন্টাইন প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি মাঠে ফিরলেও, জয় তুলে নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ভেনেজুয়েলা সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
চিলির মাঠে আজ বল দখল কিংবা আক্রমণ- সবখানেই আধিপত্য দেখিয়েছে ব্রাজিল। তবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি দরিফাউয়ের শিষ্যদের। নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোল হজম করে বসে সেলেসাওরা। ফেলিপে লয়লার ডান প্রান্ত থেকে বাড়ানো ক্রসে দূরের পোস্টে হেড করেন এদুয়ার্দো ভারগাস। চিলি লেফট উইংগারের হেড লাফিয়েও ঠেকাতে পারেননি ব্রাজিল গোলকিপার এদেরসন।
শুরুতে গোল পেয়ে চিলি আবারও আক্রমণে ওঠে ম্যাচের ১৪তম মিনিটে। তবে দারিও ওসিরিওর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। এর ৪ মিনিট পর আরেকবার সুযোগ হাতছাড়া করেন ওসিরিও। অন্যদিকে ব্রাজিল বল দখলে এগিয়ে থাকলেও শুরুতে তেমন আক্রমণে ভয় ধরাতে পারছিল না। প্রথমার্ধে মাত্র একটি শট নিয়েছিল ব্রাজিল।
চিলির বক্সের সামনে গিয়ে বারবার তালগোল পাকালেও প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোলের দেখা পায় সেলেসাওরা। সাভিনিওর ক্রসে হেডে ব্রাজিলকে সমতায় (১-১) ফেরান অভিষিক্ত জেসুস।
বিরতির পর খোলস ছেড়ে বের হয় ব্রাজিল। টানা আক্রমণ চালাতে থাকেন রদ্রিগো-রাফিনিয়ারা। দ্বিতীয়ার্ধের ৭ম মিনিটেই গোলের দেখাও পেয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন জেসুস। দানিলোর ক্রস অল্পের জন্য নাগাল পাননি ২৩ বছর বয়সী সেন্টার ফরোয়ার্ড। সে বলটি চিলি গোলকিপার ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে সুযোগ আসে রাফিনিয়ার। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেননি বার্সা উইংগার।
ম্যাচের ভাগ্য যখন ড্র বলে মনে হচ্ছিল, ৮৯তম মিনিটে ব্রাজিলকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন হেনরিকে। ব্রুনো গিমাইরাইসের পাসে বাম পায়ের বাঁকানো শটে চিলির জালে বল জড়ান তিনি। ২৩ বছর বয়সী এ রাইট উইংগারের গোলে পূর্ণাঙ্গ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে দরিফাউ জুনিয়রের দল।
আগামী বুধবার ঘরের মাঠে পেরুর বিপক্ষে পরের ম্যাচটি খেলবে ব্রাজিল।
রাতের অন্য ম্যাচের শুরুতেই গোল করে আর্জেন্টিনা। নিকোলাস ওতামেন্ডি গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। পরে সলোমোন রন্দনের গোলে সমতায় ফেরে ভেনেজুয়েলা।
ম্যাচের ১৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। চোট কাটিয়ে ফেরা মেসির দূর থেকে নেওয়া ফ্রি কিকে উড়ে আসা বল পান্স করেন গোলরক্ষক, কিন্তু বল তারই এক সতীর্থের গায়ে লেগে যায় ওতামেন্ডির পায়ে। ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫তম মিনিটে গোল শোধ করেন রন্দন। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের ক্রস বক্সে পেয়ে জোরাল হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।