সরকারের পক্ষ থেকে চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুটে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হলেও তার প্রতিফলন ঘটেনি বাস্তবে। আগেরবারের মতো এবারও কম দামে গরুর চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। রোববার (৮ জুন) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও গতবারের মতোই ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় চামড়া বিক্রি করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে আরও কম পড়েছে চামড়ার দাম।

ঈদের দিন শনিবার দুপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ শুরু করেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিক্রি করতে এসে প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে হতাশ তারা।

এবার চামড়ার দাম পাঁচ টাকা বাড়ানো হলেও সরকার নির্ধারিত দরে কাঁচা চামড়া বিক্রি হচ্ছে না। গরুর চামড়ার দাম গতবারের তুলনায় একটু বেশি। তবে অন্য বছরগুলোর মতো এবারও ছাগলের চামড়া কিনতে অনীহা দেখিয়েছেন তারা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সায়েন্সল্যাব ও পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকা ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, কুরবানিদাতাদের থেকে তারা সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন এবং ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

এ ছাড়া এবার ছাগলের চামড়া প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকা, যা গতবারও একই রকম ছিল। অনেকে কোনও দাম না নিয়েই মৌসুমী ব্যবসায়ী বা এতিমখানার লোকজনকে দিয়ে দিয়েছেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার। সেখানে গরু-ছাগলসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু।

চলতি বছর কোরবানি ঈদের মৌসুমে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ট্যানারিমালিকেরা।