সময়টা ভালো যাচ্ছিল না ব্রাজিলের। টানা চার ম্যাচ জয়হীন, টানা তিন হার। সবশেষ জয় গত বছর সেপ্টেম্বরে পেরুর বিপক্ষে। আবার ২০০৯ সালের পর থেকে ব্রাজিল কখনো ইংল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। সবমিলিয়ে তাই প্রীতি ম্যাচের শুরুতে ফেভারিট ছিল ইংল্যান্ডই।

সর্বশেষ ১০ ম্যাচে যারা অপরাজিত। খেলাটাও তাদের ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে। যেখানে গত বিশ বছর ধরে হারেনি ইংলিশরা। তবে ইংলিশদের মাটিতে শেষটা হয়েছে ব্রাজিলের জয়ে। এন্ড্রিকের একমাত্র গোলে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো এই তরুণ।

এছাড়া, ব্রাজিলের কোচ হিসেবে দরিভাল জুনিয়রের প্রথম ম্যাচ। আর সবশেষে বিষ্ময় বালক এন্ড্রিকের প্রথম গোল!

চোটের সমস্যার কারনে ব্রাজিলে নেই দুই মূল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার এবং এডারসন মোয়ারেস। ছিলো না দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার জুনিয়র। দরিভালের প্রথম ম্যাচে অভিষেকই ঘটলো সাত জনের। গোলকিপার বেন্তো, দুই মিডফিল্ডার জোয়াও গোমেজ ও পাবলো মাইয়া, দুই সেন্টার ব্যাক ফাব্রিসিও ব্রুনো ও লুকাস বেলার্দো, লেফ্ট ব্যাক ওয়েনদেল আর ফরোয়ার্ড সাভিওরকে নিয়ে ব্রাজিল দলে প্রথম যাত্রা হলো এই ম্যাচে।

অন্যদিকে, ইংল্যান্ডও চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক হ্যারি কেইন, ফরোয়ার্ড বুকায়ো সাকাকে পায়নি। দলকে নেতৃত্ব দিতে নামা কাইল ওয়াকারও ম্যাচের ২০ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। কিন্তু ফিল ফোডেন, জ্যুড বেলিংহ্যামরা ছিলেন। সে তুলনায় অবশ্য ব্রাজিলই উপহার দিয়েছে আক্রমণাত্মক ফুটবল।

ব্রাজিল অবশ্য জিততে পারতো আরও বড় ব্যবধানে। ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফিনিয়াদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ পুরোটাই তারকায় ঠাসা। লক্ষ্যে শট নেওয়া, গোলের বড় সুযোগ সৃষ্টি করায় তাই ব্রাজিলই দাপট দেখিয়েছে। ইংল্যান্ড যে সুযোগ পায়নি তা না। বেন চিলওয়েল একাই নষ্ট করেছেন কয়েকটি সুযোগ।

ম্যাচের ৮০ মিনিটে আন্দ্রেয়াস পেরেরার থ্রু বল ধরে ইংলিশ ডিবক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিয়ুস। এগিয়ে আসা জর্ডান পিকফোর্ডকে চিপ করে পরাস্ত করতে চেয়েছিলেন। তবে পিকফোর্ড তা রুখে দিলে বল চলে যায় পাশে থাকা এনদ্রিকের কাছে। আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত করেন নতুন দিনের বিষ্ময়বালক এন্ড্রিক।